২০৩০ বিশ্বকাপ ৬ দেশে, পরের বিশ্বকাপ সৌদিতে 

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
২০৩০ বিশ্বকাপ ৬ দেশে, পরের বিশ্বকাপ সৌদিতে 

ঢাকা: একসঙ্গে দুটি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ইউরোপ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার ৬ দেশ, আর ২০৩৪ বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করবে সৌদি আরব। 

ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত বিশেষ ফিফা কংগ্রেসে সদস্যদেশগুলোর ভোটে আসর দুটির আয়োজক চূড়ান্ত করা হয়।

গতকাল বুধবার সাধারণ কংগ্রেসে এটি নিশ্চিত করেছে ফিফা। ভার্চ্যুয়ালি কংগ্রেসে যুক্ত হয়ে এ ঘোষণা দেন বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজন স্বত্ত্ব অর্জন করেছে সৌদি আরব। অর্থাৎ আয়োজক দেশ নির্বাচনের জটিলতর প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হয়েছে একক বিডেই।

অন্যদিকে যৌথভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজন করতে যাওয়া ৬টি দেশ হলো- স্পেন, পর্তুগাল, মরক্কো, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে।

২০৩০ সালের আয়োজন হওয়ার জন্য আগেভাগেই প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিল স্পেন, পর্তুগাল, মরক্কো। শুরুতে আগ্রহ দেখালেও একপর্যায়ে আয়োজকস্বত্ব অর্জনের প্রতিযোগিতা থেকে নাম সরিয়ে নেয় লাতিন আমেরিকার তিন দেশ উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে।

শেষ মুহূর্তে ফিফার উদ্যোগে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েকে যুক্ত করা হয়। ফিফার পক্ষ থেকে বলা হয়, যেহেতু ১৯৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণে আয়োজক ছিল উরুগুয়ে, তাই ২০৩০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের শতবর্ষপূর্তিতে উরুগুয়েকে রাখতে চায় তারা।উরুগুয়ের সঙ্গে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েকে যুক্ত করে নেয় ফিফা।

লাতিন আমেরিকার তিন দেশের প্রত্যেকটিতে মাত্র একটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তাও আবার শুরুর দিকের ম্যাচ। উদ্বোধনী ম্যাচটি হবে উরুগুয়ের রাজধানী মন্টেভিডিওতে। ১৯৩০ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতে হবে ম্যাচটি।

শুরুর দিকের তিন ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি সবগুলো ম্যাচ হবে ইউরোপের দুই দেশ স্পেন-পর্তুগাল ও আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে।

২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে সৌদি আরবের প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় কাগজে কলমে ভোটাভুটির প্রয়োজন হয়নি। উপস্থিত বিশ্বের ৬টি ফুটবল ফেডারেশনের ২১১ জন সদস্যের মৌখিক সম্মতি ও হাততালির মাধ্যমে আয়োজকস্বত্ব অর্জন করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

কংগ্রেসে বুধবার ২০২৩ বিশ্বকাপ সম্পর্কে ইনফান্তিনো বলেন, ‘আমরা আরও দেশে ফুটবল নিয়ে আসছি। দলের সংখ্যা (খেলার) গুণমানকে কমিয়ে দেয়নি। এটি আসলে সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২৩ সালে শতবর্ষ উদযাপন করার জন্য তিনটি মহাদেশের ৬টি দেশ, ৪৮টি দল ও ১০৪টি মহাকাব্যিক ম্যাচের চেয়ে ভালো উপায় আর কী হতে পারে! বিশ্ব স্থির থাকবে ও বিশ্বকাপের ১০০ বছর উদযাপন করবে। বিডারদের অভিনন্দন। আমি ছয়টি কনফেডারেশন সভাপতি ও তাদের দলগুলোকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

এআর

Link copied!